বেসিক সূরা তথ্য
সূরা নম্বর – 15
আয়াত সংখ্যা – 99
প্রকাশিত শহর – মক্কা
পারা বিবরণ – পারা 14 আয়াত 1-99
প্রারম্ভিক পৃষ্ঠা সংখ্যা – 262 তম পৃষ্ঠা
সূরা আল-হিজরের সারাংশ
সূরা আল-হিজর, হিজর শহরের (বা মাদাইন সালিহ) নামে নামকরণ করা হয়েছে, এটি কুরআনের পঞ্চদশ সূরা। এটি 99টি আয়াত নিয়ে গঠিত এবং প্রাথমিকভাবে অতীতের জাতির কাহিনী, তাদের অবিশ্বাসের পরিণতি এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবিশ্বাসীদের জন্য সতর্কবার্তার উপর আলোকপাত করে।
সূরা আল হিজর শুরু হয়েছে কুরআনকে সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি প্রত্যাদেশ হিসাবে তুলে ধরে। এটি মানবতার জন্য একটি অনুস্মারক এবং পথনির্দেশের উত্স হিসাবে কুরআনের সত্যতা এবং সংরক্ষণের উপর জোর দেয়৷
অধ্যায়টি অতীতের জাতির কাহিনী নিয়ে আলোচনা করে, যেমন আদ ও সামুদ সম্প্রদায়, যারা তাদের নবীদের বার্তা প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল। এটি নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর অবিশ্বাসীদের জন্য একটি সতর্কবাণী হিসাবে কাজ করে এবং তাদের অবিশ্বাস এবং আল্লাহর রসূলদের প্রত্যাখ্যানের পরিণতি সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আল হিজর আসমান ও পৃথিবী সৃষ্টিতে আল্লাহর অস্তিত্ব ও ক্ষমতার নিদর্শনগুলোর ওপর জোর দেয়। এটি আল্লাহর সত্য ও একত্বকে চিনতে একটি উপায় হিসাবে এই লক্ষণগুলির প্রতিফলনকে উৎসাহিত করে৷
সূরাটি কাফেরদের কাছ থেকে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যে উপহাস ও উপহাসের মুখোমুখি হয়েছিল তার সম্বোধন করে। এটি নবীকে আল্লাহর সমর্থনের নিশ্চয়তা দেয় এবং একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পূর্ববর্তী নবীদের ধৈর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সূরা আল-হিজর পার্থিব সম্পদের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি এবং পরকালের চিরন্তন পুরস্কার চাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে। এটি অনুতাপে আল্লাহর দিকে ফিরে আসার এবং তাঁর ক্ষমা চাওয়ার তাৎপর্যকে জোর দেয়৷
সূরাটি ঐশ্বরিক আদেশের ধারণা এবং সমস্ত বিষয়ে আল্লাহর জ্ঞান ও নিয়ন্ত্রণের উপরও জোর দেয়। এটি বিশ্বাসীদের আশ্বস্ত করে যে সবকিছুই আল্লাহর পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এবং তাদের তাঁর উপর ভরসা করা উচিত।
সূরা আল-হিজরে কাফেরদের ভাগ্য এবং ধার্মিকদের পুরস্কার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যারা আল্লাহকে ভয় করে এবং তাঁর পথে সংগ্রাম করে তাদের জন্য পুরষ্কার হিসাবে এটি জান্নাতের বাগানগুলিকে হাইলাইট করে, যারা অবিশ্বাস ও অন্যায়ে অবিচল থাকে তাদের জন্য শাস্তি ও শাস্তির সতর্কবাণী৷
কুরআন তেলাওয়াতের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে এবং শয়তানের চক্রান্ত থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়ার মাধ্যমে সূরাটি শেষ হয়েছে। এটি মুমিনদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে তারা প্রার্থনা ও মিনতিতে আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে এবং একমাত্র তাঁরই উপর নির্ভর করবে৷
সংক্ষেপে, সূরা আল হিজর অতীতের জাতির কাহিনী, কুফরের পরিণতি এবং নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবিশ্বাসীদের জন্য সতর্কবার্তার উপর আলোকপাত করে। এটি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতিফলন, পার্থিব সম্পদের ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি এবং পরকালের চিরন্তন পুরস্কার চাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। সূরাটি ঐশ্বরিক আদেশের ধারণা, ক্ষমা চাওয়ার গুরুত্ব এবং আল্লাহর উপর নির্ভর করার প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরে।
বাংলায় সূরা আল-হিজরের অনুবাদিত সংস্করণ পড়ুন
1. আলিফ-লা-ম-রা; এগুলো পরিপূর্ণ গ্রন্থ ও সুস্পষ্ট কোরআনের আয়াত।
2. কোন সময় কাফেররা আকাঙ্ক্ষা করবে যে, কি চমৎকার হত, যদি তারা মুসলমান হত।
3. আপনি ছেড়ে দিন তাদেরকে, খেয়ে নিক এবং ভোগ করে নিক এবং আশায় ব্যাপৃত থাকুক। অতি সত্বর তারা জেনে নেবে।
4. আমি কোন জনপদ ধবংস করিনি; কিন্ত তার নির্দিষ্ট সময় লিখিত ছিল।
5. কোন সম্প্রদায় তার নির্দিষ্ট সময়ের অগ্রে যায় না এবং পশ্চাতে থাকে না।
6. তারা বললঃ হে ঐ ব্যক্তি, যার প্রতি কোরআন নাযিল হয়েছে, আপনি তো একজন উম্মাদ।
7. যদি আপনি সত্যবাদী হন, তবে আমাদের কাছে ফেরেশতাদেরকে আনেন না কেন?
8. আমি ফেরেশতাদেরকে একমাত্র ফায়সালার জন্যেই নাযিল করি। তখন তাদেরকে অবকাশ দেয়া হবে না।
9. আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
10. আমি আপনার পূর্বে পূর্ববর্তী সম্প্রদায়ের মধ্যে রসূল প্রেরণ করেছি।
11. ওদের কাছে এমন কোন রসূল আসেননি, যাদের সাথে ওরা ঠাট্টাবিদ্রূপ করতে থাকেনি।
12. এমনিভাবে আমি এ ধরনের আচরণ পাপীদের অন্তরে বদ্ধমূল করে দেই।
13. ওরা এর প্রতি বিশ্বাস করবে না। পূর্ববর্তীদের এমন রীতি চলে আসছে।
14. যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দেই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণ ও করতে থাকে।
15. তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
16. নিশ্চয় আমি আকাশে রাশিচক্র সৃষ্টি করেছি এবং তাকে দর্শকদের জন্যে সুশোভিত করে দিয়েছি।
17. আমি আকাশকে প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান থেকে নিরাপদ করে দিয়েছি।
18. কিন্তু যে চুরি করে শুনে পালায়, তার পশ্চাদ্ধাবন করে উজ্জ্বল উল্কাপিন্ড।
19. আমি ভু-পৃষ্ঠকে বিস্তৃত করেছি এবং তার উপর পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক বস্তু সুপরিমিতভাবে উৎপন্ন করেছি।
20. আমি তোমাদের জন্যে তাতে জীবিকার উপকরন সৃষ্টি করছি এবং তাদের জন্যেও যাদের অন্নদাতা তোমরা নও।
21. আমার কাছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার রয়েছে। আমি নির্দিষ্ট পরিমানেই তা অবতরণ করি।
22. আমি বৃষ্টিগর্ভ বায়ু পরিচালনা করি অতঃপর আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করি, এরপর তোমাদেরকে তা পান করাই। বস্তুতঃ তোমাদের কাছে এর ভান্ডার নেই।
23. আমিই জীবনদান করি, মৃত্যুদান করি এবং আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী।
24. আমি জেনে রেখেছি তোমাদের অগ্রগামীদেরকে এবং আমি জেনে রেখেছি পশ্চাদগামীদেরকে।
25. আপনার পালনকর্তাই তাদেরকে একত্রিত করে আনবেন। নিশ্চয় তিনি প্রজ্ঞাবান, জ্ঞানময়।
26. আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি।
27. এবং জিনকে এর আগে লু এর আগুনের দ্বারা সৃজিত করেছি।
28. আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্ট একটি মানব জাতির পত্তন করব।
29. অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফঁুক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।
30. তখন ফেরেশতারা সবাই মিলে সেজদা করল।
31. কিন্তু ইবলীস-সে সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হতে স্বীকৃত হল না।
32. আল্লাহ বললেনঃ হে ইবলিস, তোমার কি হলো যে তুমি সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হতে স্বীকৃত হলে না?
33. বললঃ আমি এমন নই যে, একজন মানবকে সেজদা করব, যাকে আপনি পচা কর্দম থেকে তৈরী ঠনঠনে বিশুষ্ক মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।
34. আল্লাহ বললেনঃ তবে তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও। তুমি বিতাড়িত।
35. এবং তোমার প্রতি ন্যায় বিচারের দিন পর্যন্ত অভিসম্পাত।
36. সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।
37. আল্লাহ বললেনঃ তোমাকে অবকাশ দেয়া হল।
38. সেই অবধারিত সময় উপস্থিত হওয়ার দিন পর্যন্ত।
39. সে বললঃ হে আমার পলনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথ ভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথ ভ্রষ্ঠ করে দেব।
40. আপনার মনোনীত বান্দাদের ব্যতীত।
41. আল্লাহ বললেনঃ এটা আমা পর্যন্ত সোজা পথ।
42. যারা আমার বান্দা, তাদের উপর তোমার কোন ক্ষমতা নেই; কিন্তু পথভ্রান্তদের মধ্য থেকে যারা তোমার পথে চলে।
43. তাদের সবার নির্ধারিত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম।
44. এর সাতটি দরজা আছে। প্রত্যেক দরজার জন্যে এক একটি পৃথক দল আছে।
45. নিশ্চয় খোদাভীরুরা বাগান ও নির্ঝরিনীসহূহে থাকবে।
46. বলা হবেঃ এগুলোতে নিরাপত্তা ও শান্তি সহকরে প্রবেশ কর।
47. তাদের অন্তরে যে ক্রোধ ছিল, আমি তা দূর করে দেব। তারা ভাই ভাইয়ের মত সামনা-সামনি আসনে বসবে।
48. সেখানে তাদের মোটেই কষ্ট হবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিস্কৃত হবে না।
49. আপনি আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দিন যে, আমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল দয়ালু।
50. এবং ইহাও যে, আমার শাস্তিই যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।
51. আপনি তাদেরকে ইব্রাহীমের মেহমানদের অবস্থা শুনিয়ে দিন।
52. যখন তারা তাঁর গৃহে আগমন করল এবং বললঃ সালাম। তিনি বললেনঃ আমরা তোমাদের ব্যাপারে ভীত।
53. তারা বললঃ ভয় করবেন না। আমরা আপনাকে একজন জ্ঞানবান ছেলে-সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি।
54. তিনি বললেনঃ তোমরা কি আমাকে এমতাবস্থায় সুসংবাদ দিচ্ছ, যখন আমি বার্ধক্যে পৌছে গেছি ?
55. তারা বললঃ আমরা আপনাকে সত্য সু-সংবাদ দিচ্ছি! অতএব আপনি নিরাশ হবেন না।
56. তিনি বললেনঃ পালনকর্তার রহমত থেকে পথভ্রষ্টরা ছাড়া কে নিরাশ হয় ?
57. তিনি বললেনঃ অতঃপর তোমাদের প্রধান উদ্দেশ্য কি হে আল্লাহর প্রেরিতগণ ?
58. তারা বললঃ আমরা একটি অপরাধী সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
59. কিন্তু লূতের পরিবার-পরিজন। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে বাঁচিয়ে নেব।
60. তবে তার স্ত্রী। আমরা স্থির করেছি যে, সে থেকে যাওয়াদের দলভূক্ত হবে।
61. অতঃপর যখন প্রেরিতরা লূতের গৃহে পৌছল।
62. তিনি বললেনঃ তোমরা তো অপরিচিত লোক।
63. তারা বললঃ না বরং আমরা আপনার কাছে ঐ বস্তু নিয়ে এসেছি, যে সম্পর্কে তারা বিবাদ করত।
64. এবং আমরা আপনার কাছে সত্য বিষয় নিয়ে এসেছি এবং আমরা সত্যবাদী।
65. অতএব আপনি শেষরাত্রে পরিবারের সকলকে নিয়ে চলে যান এবং আপনি তাদের পশ্চাদনুসরণ করবেন না এবং আপনাদের মধ্যে কেউ যেন পিছন ফিরে না দেখে। আপনারা যেখানে আদেশ প্রাপ্ত হচ্ছেন সেখানে যান।
66. আমি লূতকে এ বিষয় পরিজ্ঞাত করে দেই যে, সকাল হলেই তাদেরকে সমুলে বিনাশ করে দেয়া হবে।
67. শহরবাসীরা আনন্দ-উল্লাস করতে করতে পৌছল।
68. লূত বললেনঃ তারা আমার মেহমান। অতএব আমাকে লাঞ্ছিত করো না।
69. তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার ইযযত নষ্ট করো না।
70. তার বললঃ আমরা কি আপনাকে জগৎদ্বাসীর সমর্থন করতে নিষেধ করিনি।
71. তিনি বললেনঃ যদি তোমরা একান্ত কিছু করতেই চাও, তবে আমার কন্যারা উপস্থিত আছে।
72. আপনার প্রাণের কসম, তারা আপন নেশায় প্রমত্ত ছিল।
73. অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তাদেরকে প্রচন্ড একটি শব্দ এসে পাকড়াও করল।
74. অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম।
75. নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
76. জনপদটি সোজা পথে অবস্থিত রয়েছে।
77. নিশ্চয় এতে ঈমানদারদের জন্যে নিদর্শণ আছে।
78. নিশ্চয় গহীন বনের অধিবাসীরা পাপী ছিল।
79. অতঃপর আমি তাদের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিয়েছি। উভয় বস্তি প্রকাশ্য রাস্তার উপর অবস্থিত।
80. নিশ্চয় হিজরের বাসিন্দারা পয়গম্বরগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছে।
81. আমি তাদেরকে নিজের নিদর্শনাবলী দিয়েছি। অতঃপর তারা এগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
82. তারা পাহাড়ে নিশ্চিন্তে ঘর খোদাই করত।
83. অতঃপর এক প্রত্যুষে তাদের উপর একটা শব্দ এসে আঘাত করল।
84. তখন কোন উপকারে আসল না যা তারা উপার্জন করেছিল।
85. আমি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যা আছে তা তাৎপর্যহীন সৃষ্টি করিনি। কেয়ামত অবশ্যই আসবে। অতএব পরম ঔদাসীন্যের সাথে ওদের ক্রিয়াকর্ম উপক্ষো করুন।
86. নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই স্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
87. আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।
88. আপনি চক্ষু তুলে ঐ বস্তুর প্রতি দেখবেন না, যা আমি তাদের মধ্যে কয়েক প্রকার লোককে ভোগ করার জন্যে দিয়েছি, তাদের জন্যে চিন্তিত হবেন না আর ঈমানদারদের জন্যে স্বীয় বাহু নত করুন।
89. আর বলুনঃ আমি প্রকাশ্য ভয় প্রদর্শক।
90. যেমন আমি নাযিল করেছি যারা বিভিন্ন মতে বিভক্ত তাদের উপর।
91. যারা কোরআনকে খন্ড খন্ড করেছে।
92. অতএব আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই ওদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করব।
93. ওদের কাজকর্ম সম্পর্কে।
94. অতএব আপনি প্রকাশ্যে শুনিয়ে দিন যা আপনাকে আদেশ করা হয় এবং মুশরিকদের পরওয়া করবেন না।
95. বিদ্রুপকারীদের জন্যে আমি আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।
96. যারা আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্য সাব্যস্ত করে। অতএব অতিসত্তর তারা জেনে নেবে।
97. আমি জানি যে আপনি তাদের কথাবর্তায় হতোদ্যম হয়ে পড়েন।
98. অতএব আপনি পালনকর্তার সৌন্দর্য স্মরণ করুন এবং সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যান।
99. এবং পালনকর্তার এবাদত করুন, যে পর্যন্ত আপনার কাছে নিশ্চিত কথা না আসে।