সূরা আল-ইনফিতার এর বাংলা অনুবাদ

বেসিক সূরা তথ্য

সূরা নম্বর – 82
আয়াত সংখ্যা – 19
প্রকাশিত শহর – মক্কা
জুজ বিবরণ – জুজ 30 আয়াত 1-19
প্রারম্ভিক পৃষ্ঠা সংখ্যা – 587 তম পৃষ্ঠা

সূরা আল-ইনফিতারের সারাংশ

সূরা আল-ইনফিতার, কুরআনের 82 তম সূরা, বিচার দিবস এবং তাদের কর্মের জন্য মানুষের জবাবদিহিতা সম্পর্কে আলোচনা করে। সূরাতে “আল-ইনফিতার” (আলাদা করা) এর উল্লেখ থেকে এর নাম নেওয়া হয়েছে। এটি 19টি শ্লোক নিয়ে গঠিত৷

সূরাটি বিচার দিবসের দৃশ্যের বর্ণনা দিয়ে শুরু হয়েছে। এটি পৃথিবীকে উন্মুক্ত করে বিভক্ত করা এবং কবর উল্টে দেওয়াকে বিচার দিবসের আসন্ন ঘটনার একটি চিহ্ন হিসাবে চিত্রিত করে। এটি এই ঘটনাগুলি ঘটানোর জন্য আল্লাহর অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেয়৷

সূরা আল-ইনফিতার মানুষের কাজের জন্য তাদের জবাবদিহিতা তুলে ধরে। এটি জোর দেয় যে বিচারের দিন, সমস্ত গোপনীয়তা উন্মোচিত হবে এবং প্রতিটি ব্যক্তির আমলনামা সামনে আনা হবে। এটি জোর দেয় যে কোনও কাজই, তা যতই ছোট হোক না কেন, অলক্ষিত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত হবে না।

সূরাটি তাদের সতর্ক করে যারা বিচার দিবসকে অস্বীকার করে এবং পুনরুত্থানের ধারণাকে উপহাস করে। এটি তাদের অবিশ্বাস এবং ঔদ্ধত্যের জন্য যে পরিণতির সম্মুখীন হবে তা তুলে ধরে। এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে পরকাল একটি বাস্তবতা এবং প্রতিটি আত্মাকে তার কর্মের জন্য প্রতিদান দেওয়া হবে৷

সূরা আল-ইনফিতার ধার্মিক বিশ্বাসীদের এবং তাদের পুরস্কারকেও সম্বোধন করে। এটি তাদের বর্ণনা করে যারা জান্নাতে সুখ ও তৃপ্তিতে থাকবে। এটি আল্লাহর প্রতি তাদের আনুগত্য এবং তাদের সৎ কর্মের জন্য তারা যে আশীর্বাদ এবং পুরষ্কার পাবে তার উপর জোর দেয়।

সূরাটি মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা এবং ধারক হিসাবে আল্লাহর মহত্ত্ব ও ক্ষমতার উপর জোর দিয়ে শেষ হয়েছে। এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞান রাখেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতের বিষয়ে তার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷

সংক্ষেপে, সূরা আল-ইনফিতার বিচার দিবস এবং মানুষের কৃতকর্মের জন্য জবাবদিহিতা সম্পর্কে আলোচনা করে। এটি বিচার দিবসের দৃশ্য বর্ণনা করে এবং এর বাস্তবতা অস্বীকার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে। সূরাটি ধার্মিক বিশ্বাসীদের জন্য পুরষ্কার এবং অবিশ্বাসীদের জন্য পরিণতির উপর জোর দেয়। এটি আল্লাহর মহত্ত্ব ও ক্ষমতা তুলে ধরে শেষ হয়৷

বাংলায় সূরা আল-ইনফিতার এর অনুবাদ পড়ুন

Bismillahir Rahmanir Rahim

1. যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,

2. যখন নক্ষত্রসমূহ ঝরে পড়বে,

3. যখন সমুদ্রকে উত্তাল করে তোলা হবে,

4. এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,

5. তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।

6. হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?

7. যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।

8. যিনি তোমাকে তাঁর ইচ্ছামত আকৃতিতে গঠন করেছেন।

9. কখনও বিভ্রান্ত হয়ো না; বরং তোমরা দান-প্রতিদানকে মিথ্যা মনে কর।

10. অবশ্যই তোমাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত আছে।

11. সম্মানিত আমল লেখকবৃন্দ।

12. তারা জানে যা তোমরা কর।

13. সৎকর্মশীলগণ থাকবে জান্নাতে।

14. এবং দুষ্কর্মীরা থাকবে জাহান্নামে;

15. তারা বিচার দিবসে তথায় প্রবেশ করবে।

16. তারা সেখান থেকে পৃথক হবে না।

17. আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?

18. অতঃপর আপনি জানেন, বিচার দিবস কি?

19. যেদিন কেউ কারও কোন উপকার করতে পারবে না এবং সেদিন সব কতৃêত্ব হবে আল্লাহর।

Scroll to Top